[২] সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে এই বিধিনিষেধ আরোপের তথ্য জানানো হয়েছে।

[৩] সোমবারই মার্কিন প্রশাসন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও আইনের শাসন বাধাগ্রস্ত করায় গুয়েতেমালার ১০০ কংগ্রেস সদস্যসহ ৩০০ নাগরিকের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

[৩] যে ৩০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তারা বড় রকম দুর্নীতিতে জড়িত ও তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ হবেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেন তার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ১১ ডিসেম্বর পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছেন। যেসব ব্যক্তি দুর্নীতিতে জড়িত তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা বিস্তৃত করার এক ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

[৪] সোমবার ভিসা বিধিনিষেধ দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আফগানিস্তানের সাবেক স্পিকারসহ দুই সরকারি কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাসহ দেশটির ৪৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সাবেক সরকারি কৌঁসুলি এবং গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক পরিচালকের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। ডোমিনিকান রিপাবলিকের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, হাইতির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দুজন সাবেক সিনেটর, লাইবেরিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেও ভিসা বিধিনিষেধ দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর।

[৫] তিনি আরও বলেছেন, গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কির অধীনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা পরিপূরক ও শক্তিশালী করা হয়েছে। যেকোনো রকম দুর্নীতি মোকাবিলায় হাতে থাকা সব রকম উপায় বা টুলস ব্যবহার করবে যুক্তরাষ্ট্র এবং এ জন্য তারা মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করে যাবে। 

[৬] যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তার মধ্যে আছেন আফগানিস্তানের সাবেক স্পিকার মীর রহমান রহমানি ও আফগান পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য আজমল রহমানি। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় মীর রহমানি, আজমল রহমানি এবং ৪৪টি সহযোগী এনটিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা -নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। 

[৭] বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সাবেক সরকারি প্রসিকিউটর ডায়ানা কাজমাকোভিচের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। দৃশ্যত ওসমান মেহমেদাজিচ সহ ফৌজদারী অপরাধীদের বিরুদ্ধে তদন্ত আটকে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। ওসমান মেহমেদাজিচের বিরুদ্ধে বিস্তৃত দুর্নীতি, অপরাধের অভিযোগ আছে। 

[৮] নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন ডোমিনিক প্রজাতন্ত্রের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল জ্যাঁ অ্যালেন রড্রিগুয়েজ সানচেজ। নিষেধাজ্ঞায় আছেন তার স্ত্রী মারিয়া ইসাবেল পেরেজ স্যালেন্ট এবং অল্প বয়সী দুই সন্তান।

[৯] যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইতির সাবেক প্রধানমন্ত্রী, পরিকল্পনা ও বৈদেশিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী জ্যাঁ-ম্যাক্স বেলেরিভের বিরুদ্ধে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন তার স্ত্রী মরিয়ম এস্টেভেজ ডা বেলেরিভে, কন্যা ডায়ানা জেনিফার বেলেরিভে এবং জেসিকা বেলেরিভে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা খেয়েছেন দেশটির সাবেক সিনেটর নেনেল ক্যাসি, তার স্ত্রী ক্যাথেরিন ক্যাসি চেরি এবং অল্প বয়সী এক শিশু। আরও নিষেধাজ্ঞা খেয়েছেন হাইতির সাবেক সিনেটর হারভে ফোরকান্দ।

[১০] লাইবেরিয়ায় নিষেধাজ্ঞা খেয়েছেন দেশটির অর্থ ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ক মন্ত্রী স্যামুয়েল তোয়ে, সিনেটর আলবার্ট কাই এবং ইমানুয়েল নুকিয়ে। মার্শাল আইল্যান্ডের পরিবহন ও যোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রী কেসাই নোটের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সেখানকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সিনেটর মাইক হাফেরটির বিরুদ্ধে। সম্পাদনা: ইকবাল খান